টিকা পাওয়া নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অপেক্ষা 

সবাই বলে দেব, কিন্তু কখন দেবে বলে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে।

টিকা পাওয়া নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অপেক্ষা 

সবাই বলে দেব, কিন্তু কখন দেবে বলে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির পক্ষ থেকে অনুদান হিসেবে ফিলিস্তিনিদের মেডিকেল সামগ্রী দেওয়ার এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আক্ষেপ করে একথা বলেন। অনুদানের মধ্যে রয়েছে, ১৪শ কেজি বিভিন্ন প্রকার প্রয়োজনীয় ওষুধ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন, ‘টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হয় এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত।’ এ বিষয়ে আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র ০.৩ শতাংশ গরিব দেশগুলোর কাছে। এজন্য হাহাকার এবং কেউ পাচ্ছে না।

আব্দুল মোমেন বলেন, অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩.৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। তাদেরকে টিকা দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে, কিন্তু হাতে আসছে না।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে টিকার জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরিভিত্তিতে তাদের কাছে টিকা চেয়েছি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আমাদেরকে টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটি এখনও বলেনি। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।